সংবাদ সমাচার

আদর্শ সমাজ গঠনে মানুষের স্বভাব চরিত্র কেমন হওয়া দরকার ?

আদর্শ-সমাজ-গঠনে-মানুষের-সমাজের প্রধান অনু হচ্ছে মানুষ। মানুষ যদি না থাকে সমাজ ব্যবস্থা অর্থহীন আর এই সমাজ অবস্থাকে প্রবর্তক পরিবর্তন করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মানুষের কর্মকান্ডের দ্বারা নিয়োজিত থাকে। একটি আদর্শ সমাজ গঠনে মানুষের স্বভাব চরিত্র কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আজকে আমার আর্টিকেলটি লেখা। সমাজ ব্যবস্থা যতই সুন্দর পরিপাটি হোক না কেন ? যদি আদর্শ অনুযায়ী ব্যক্তির স্বভাব চরিত্র গঠন না হয়, তাহলে সেই আদর্শ সমাজ গঠনের স্বপ্ন একবারে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আর সেই সাথে সমাজে অবস্থান করবে অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ যাদের চরিত্র ও কর্মকান্ড একেবারেই বিপরীতমুখী।

তাই আদর্শ সমাজ গঠনে আমরা যদি বড় বড় মনীষী এবং তাদের জীবনী অবলোকন করে থাকি, তাহলে আমরা সহজেই সমাজব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ আদর্শ রূপে প্রদর্শন করা সম্ভব হবে। আমরা যদি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আদর্শ সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনা খুজি তাহলে আমরা মহাকালের মহামানব শ্রেষ্ঠ আদর্শ সমাজ ব্যবস্থার যে মডেল উপস্থাপন করেছেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবন দর্শন প্রক্রিয়া।

যা তিনি ব্যক্তিগত জীবনে সমাজ গঠনের কয়েকটি মৌলিক নীতি এবং কর্ম পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন সে সম্পর্কে যদি আমরা আলোকপাত করি তাহলে সহজেই আমরা আদর্শ সমাজ গঠনের যে সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলী থাকা প্রয়োজন সেগুলো আমরা জানতে পারবো তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক- 

তাওহীদ তথা একাত্মবাদ। 

এক্ষেত্রে তাওহীদ একত্ববাদের বাণী যদি কোন ব্যক্তি হৃদয় প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে সে আল্লাহর একাত্ম্য দাসত্বের বিশ্বাসী হয়ে তার জীবন পরিচালনা করতে পারবে। আর এই তাওহীদের সঠিক চেতনা অমূল্য বিশ্বাস যা মানুষকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত না করে শিক্ষা নেওয়া।

এক্ষেত্রে তাওহীদ  আদর্শ সমাজ গঠনে ব্যক্তির চারিত্রিক স্বভাব চরিত্র গঠনে সহায়ক হিসাবে কাজ করে থাকে।এক্ষেত্রে ব্যক্তির ভ্রাতৃত্ববোধ একাত্মবোধ ও আত্মবিশ্বাস পরিপূর্ণ হয়ে কিন্তু এটা থাকে। https://daliatista.com

 রিসালাত তথা আল্লাহর রাসূল ও বান্দা।

আদর্শ সমাজ গঠনে ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিতরে, আল্লাহর রাসূলের তিনি আখেরি পয়গম্বর শেষ নবী হিসেবে এই পৃথিবীতে আগমন করেছেন। তাওহীদের পাশাপাশি রিসালাতের মর্ম অনেক বেশি এক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি তার হৃদয়ে ধারণ করতে পারে তাহলে সে সহজে সমাজ ব্যবস্থাকে আদর্শ মডেলর রূপে পরিণত করতে পারবে।

আদর্শ-সমাজ-গঠনে-মানুষের-এক্ষেত্রে ব্যক্তির সবকিছু আল্লাহর উপরেই নির্ভরশীল এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর পথ ও পাথেয় অনুকরণের মাধ্যমে ব্যক্তির প্রবৃত্তির প্রভুত্ব থাকবে না। ব্যক্তি সফল মাথা নত করার ঊর্ধ্বে তার সমাজব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারবে।

আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন রাখা। 

আদর্শ সমাজ গঠনে ব্যক্তির চরিত্র নিয়েে একজন মানুষ যদি পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে এবং সে ভাবে এই জীবনের পরেও আরো জীবন আছে,আর সেখানেই এই প্রার্থীর জীবনের ভালো-মন্দ সবকিছুই বিচার হবে। 

আদর্শ-সমাজ-গঠনে-মানুষের

আদর্শ-সমাজ-গঠনে-মানুষের-তাই পরকালের চিন্তা করে এই জীবনের আমাকে আপনাকে উত্তর সচেতন হয়ে জীবন যাপন করতে পারলে আপনি সমাজে অবস্থাকেই আদর্শবান করে তুলতে পারবে। এটাই ছিল রাসুল সালাম সালামের সমাজ ব্যবস্থা গঠনের খুব ব্যক্তির চরিত্র গঠনের অন্যতম নীতি।

 চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের  নৈতিকতার প্রশিক্ষন গ্রহন।

আদর্শ সমাজ গঠনে ব্যক্তির চারিত্রিক ও নৈতিকতার প্রশিক্ষণ প্রদান গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। আর ব্যক্তি ক্ষেত্রে নৈতিকতা শিক্ষা দানের  কোন বিকল্প নেই রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম হাতে-কলমে যে নৈতিকতা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভুল হয়ে সমস্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন যা সাহাকেরামগন সঠিক নির্দেশনা গ্রহন করেছেন। https://www.google.com

যদি কোন ব্যক্তি জ্ঞানের সাগর হাবুডুবু খেয়ে থাকে কিন্তু সে যদি নৈতিক চরিত্রের অধিকারী না হয় তাহলে তার দ্বারা সমাজ ব্যবস্থা একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। সমাজে একজন মানুষ ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেনা। 

আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা গঠনে ব্যক্তির  চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দুটি দিক আছে 

আদর্শ-সমাজ-গঠনে-মানুষের

১।  ইতিবাচক দিক

আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা গঠনে ব্যক্তিকে সব সময় ইতিবাচক দিক নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

  • তাকওয়া 
  • খোদাভীতি 
  • আল্লাহর উপর ভরসা 
  • বিনয় ও নম্র 
  • স্নেহ মায়া মমতা
  •  সহমর্মিতা
  •  শোকর আদায়
  •  শবর গ্রহন 
  • ক্ষমা করে দেওয়া
  • উদারতা দেখানো
  •  দানশীলতা 
  • ইহসান ও লজ্বাশলিতা 
  • সত্যতা ও সত্যবাদীতা
  •  আমানত রক্ষাকারী
  •  ন্যায়পরায়ণ 
  • ত্যাগ ও কোরবানি ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতন থাকা ।

২।  নেতিবাচক দিক

  • অহংকার আত্নগর্ব
  •  ক্রোধ লৌকিকতা
  •  লোভ ও লালসা
  •  হিংসা ও বিদ্বেষ
  •  গিবত পরনিন্দা
  •  চোখলখুরি ও পরশ্রীকাতরতা
  •   মিথ্যা ও অপবাদ
  •  খেয়ানত ও মন্দ ধারনা 
  • অশ্লীলতা ও কামানাশক্তি
  •  কৃপণতা ও জুলুমবাজ
  •  কোনো আল্লাওয়ালা পরহেজগার মানুষকে কষ্ট দেওয়া

আদর্শ সমাজ গঠন একজন ব্যক্তির চরিত্র গঠন কি হবে তা  রাসুল (সাঃ) নবুয়তের ২৩ বছরের জিনদ্দিগীতে সাহাবায়ে কেরামকে নৈতিকতা ও আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা গঠনে যে প্রশিক্ষণ ব্যক্তিরূপে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমি উন্নত চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্য প্রেরিত হয়েছি।

শেষকথাঃ উপরিক্ত আলোচনা দ্বারা আদর্শ সমাজ গঠনে একজন ব্যক্তির চরিত্র কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে যে চারটি নীতি ও কর্মপদ্ধতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হলো তার সমাজে ব্যক্তির চরিত্র আদর্শবান হওয়ার একান্ত প্রয়োজন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সমস্ত  আদর্শ সমাজ গঠনে  ব্যক্তির চরিত্র দেখিয়েছেন তার পথকে অনুসরণ করে পরবর্তী সময় অনেক সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন তাবে তাবেঈন সালাফে সালেহীরা উন্নত চরিত্র নিয়ে আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা গঠন করেছিলেন। আশা করি গুরুত্ব তথ্য গুলো আপনারা ভালোভাবে করতে পারলে এবং একজন আদর্শবান চরিত্রের গুণাবলী হতে পারলেই আপনি সহজেই ইহকাল এবং পরকালে কামিয়াবী হাসিল করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকার মত এখানেই শেষ করছি সবাই সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

 

admin

মোঃ শফিকুল ইসলাম লেবু (Lecturer) ডালিয়া, ডিমলা, নীলফামারী। আমি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কন্টেইন ও ব্লগিং পোষ্ট করে থাকি, এ ব্যাপারে পাঠকগন মতামত দিলে - যথাসম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *