হাঁস পালনে খরচ কম ! লাভ বেশি ! হওয়ার সেরা পদ্ধতি
হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – হাঁস গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে অন্যতম লাভবান পাখী হাঁস।যা গ্রামে সহজেই পালন করে লাভবান হওয়া যায়। আপনী বাড়ীতে অথবা খামারে বানিজ্যিক ভাবে পালন করতে পারেন ? এটি বাংলাদেশেরর জন্য অত্যন্ত পরিবেশ সম্মত আবহাওয়ায় অনুকুল পরিবেশে পালন করা যায়। হাঁস পালনে লাভবান হতে হলে বাড়িতে হোক অথবা খামারে হোক হাঁস পালনে যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে , সেগুলো বাচ্চা কোথায় পাওয়া যায় । হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – বাচ্চার ব্রুডিং কালীন পরিচর্যা হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বয়সের খাদ্য তৈরির উপাদান সমূহ এবং আজ হাঁস রাখার ঘরের উপস্থাপনা হাঁসের রোগ বালাই সম্পর্কে এবং এর প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি এর প্রতিকার হিসেবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যথা সম্ভব আপনাকে অবশ্যই আগের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধারণা রাখতে হবে। আর এসব ধারণা থাকলে আপনি সহজেই লাভবান হতে পারবেন। হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্যক্তিগত ঘরোয়া উপায়ে অথবা খামারি পর্যায়ে নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন করছে। এবং সফল হচ্ছে এই সফলতার পিছনে থাকতে হবে যথেষ্ট পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা , এই ব্যবসায় নামতে হবে। আজকে আমি আমার এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে অবগত করব কিভাবে হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – লাভবান হওয়ার সেরা পদ্ধতিগুলো নিম্নে প্রকাশ করা হলো।
হাঁসের জাতসমূহ
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে মোট তিন ধরনের হাঁস পালন করা হয়ে থাকে।
১। মাংস উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন
২। ডিম উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন
৩। মাংস ও ডিম উভয় উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন
মাংস উৎপাদনের জন্য যেভাবে হাঁস পালন করবেন?
আপনি যদি হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – মাংস উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েক ধরনের হাঁস কি নির্বাচন করতে হবে তাহলে আপনি সহজেই মাংস উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করে লাভবান হতে পারবেন।
আর এসব মাংস উৎপাদনের হাঁস পালনের জন্য যেসব হাঁস জাত ক্রয় করবেন- পিংকি, ক্যায়ুগা, আয়লেশবারী, রুংয়ল,মাসকোভি,ও সুইডেন হাঁসের জাত এই সকল জাতের হাঁস পালন করে আপনি সহজেই মাংস উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এবং লাভবান হবেন। http://daliatista.com
এসব হাঁসের ওজন হবে পুরুষ প্রজাতী হাঁস ওজন ৫ কেজি আর মহিলা প্রজাতী হাঁসের ৪ কেজি পর্যন্ত আপনি পেতে সক্ষম হবেন।
ডিম উৎপাদনের জন্য যেভাবে হাঁস পালন করবেন ?
আপনি যদি শুধুমাত্র ডিম উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করে থাকেন তাহলে সেই সমস্ত হাঁসের জাত হলো- জিনডিং জাতের হাঁস ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁস। ইন্ডিয়ান রানার হাঁস তিন ধরনের পাওয়া যায়।
- সাদা হাঁস
- পাসুটে ও পিঠে দাগ কাটা পেনসিলের শিশের মত
মাংস ও ডিম উভয় উৎপাদনের জন্য হাঁস পালন করতে পারেন ?
আপনি প্রান্তিক চাষী অথবা খামারি হয়ে থাকলে মাংস ডিম উভয়ের জন্য হাঁস পালন করতে পারেন আর আপনি সঠিক নিয়মে পরিচর্যার মাধ্যমে যদি হাঁস পালন করতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই লাভবান হতে পারবেন। তাই মাংস ও ডিম উভয় উৎপাদনের জন্য যেসব হাঁস পালন করবেন-
- খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস
- মিসেস ক্যাম্পল
- ইন্ডিয়ান রানার
- রুয়েল
- ক্যায়ুগা
এই সমস্ত জাতের হাঁস গুলো খাকি কালারের বা স্থায়ী বাদামী রং এর হয়ে থাকে এজন্য এর নামটি দেওয়া হয়েছে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস।
কোথায় হাঁসের বাচ্চা পাবেন ?
হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি -ব্যক্তি উদ্যোগে অথবা খামারি হতে চাইলে আপনাকে দেশের তিনটি জেলা থেকে আপনি এই সমস্ত উন্নত জাতের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারেন। এবং অনায়সে আপনি লাভবান হবেন।
- খুলনার দৌলতপুরের কেন্দ্রীয় হাঁস প্রজনন খামার
- নওগাঁ জেলার আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার
- নারায়ণগঞ্জ হাঁস প্রজনন কেন্দ্র
উল্লেখিত স্থান ছাড়াও আপনি ইচ্ছা করলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে হাঁসের ও মুরগির খামার থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিভাবে হাঁসের বাচ্চার ব্রুডিংকালীন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করবেন ?
হাঁসের বাচ্চার সংগ্রহের পর আপনি কিভাবে ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা নিবেন অর্থাৎ বাচ্চাকে তাপ দিতে হবে। হাঁসের বাচ্চার জীবন বৃদ্ধির জন্য বাচ্চাকে তাপ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে এজন্য এ প্রক্রিয়াকে ব্রুডিং তাপ বলা হয়। কারণ এরা নিজে নিজেকেই তাপ দিতে পারে না বলেই বাচ্চাকে ব্রুডিং করা হয়ে থাকে।হাঁসের বাচ্চাকে প্রাথমিক অবস্থায় তাপের কাছাকাছি রাখা অত্যন্ত কার্যকরী উপায় গোলাকার গার্ড তৈরি করে তাপ দিতে হবে।
আর এই গার্ডের ভিতরে বাচ্চাকে খাবার সরবরাহ করতে হবে। ব্রুডারের আকার ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে বাচ্চার জাত ও উপযোগিতার অনুসারে তাপের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বাচ্চার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতি সপ্তাহে ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে, আর এর জন্য আপনাকে সঠিক পদ্ধতি গুলো জানতে হবে।
যেভাবে হাঁসের খাদ্য ব্যবস্থা গ্রহণ নিবেন ?
হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি -রাজহাঁস ছাড়া প্রায় সকল জাতি উভয়ভোজী প্রাণী। এদের খাবার আমিষ ও স্বেচ্ছার দুটোই উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও হাঁস পালনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এরা খাল বিল পুকুর থেকে তারা তাদের নিজেদের খাবার সংগ্রহ করতে পারে। হাঁসের খামার হবে মুরগির খামারের ন্যায় কিন্তু হাঁসের খাবার সম্পূর্ণ মুরগির মত আবার নয় অতঃপর মুরগির খাবার যদি আপনি হাঁসকে খাওয়ান তাহলে স্বাভাবিক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবেন না।
মনে রাখতে হবে যে সমস্ত হাঁস বেশি পরিমাণে ডিম দেয় তাকে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। তবে দেশী হাঁসকে ঘরোয়া খাবার দিতে পারেন যেমন চালের গুড়া যে কোন খোয়েল আটা ভুষি শামুক ঝিনুক মাছের ফেলে দেওয়া অংশ ইত্যাদি বাড়ির হাঁসের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ।
হাঁসকে কখনোই শুকনো জাতীয় খাবার দেওয়া উচিত হবে না। হাঁস যেটুকু খাবার গ্রহণ করে তার থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে পানি গ্রহণ করে থাকে। অতঃপর শূন্য থেকে আট সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে তার স্বাধীন মত খাবার খেতে দেওয়া উচিত হবে। আর প্রাপ্তবয়স্ক হাসির জন্য আপনি দিনে ২ বার দিতে পারেন।
বিভিন্ন বয়সের হাঁসের খাদ্য যেভাবে তৈরি করবেন?
খাদ্যগুলো প্রত্যেকটা উপাদান টাটকা সতেজ ও সহজে পাওয়া যায় সস্তা পুষ্টিগুণাগুণ সঠিক থাকে সেই দিক থেকে আপনাকে বিশেষ নজর দিতে হবে। হাঁসকে কখনোই কোনো অবস্থাতেই পচা বাঁশি ও ভাঙ্গাস যুক্ত নিম্নমানের স্বাস্থ্য হানিকর খাবার দেওয়া যাবে না তাই নিচে বিভিন্ন বয়সের হাঁসের সুষম খাদ্য কিভাবে তৈরি করবেন তার তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
হাঁসের খাদ্যের তালিকাঃ
খাদ্য উৎপাদন | হাঁসের বাচ্চার বয়স ০-৬ সপ্তাহ | বারন্ত হাঁসের বয়স ৭-১৯ সপ্তাহ | ডিম পাড়া হাঁস ২০ সপ্তাহের বেশি |
গম ভাঙ্গা | ৩৬.০০ | ৩৬.০০ | ৩৬.০০ |
ভুট্রা ভাঙ্গা | ১৮.০০ | ১৮.০০ | ১৭.০০ |
চাউলের কুড়া | ১৮.০০ | ১৭.০০ | ১৭.০০ |
সয়াবিন মিল | ২২.০০ | ২৩.০০ | ২৩.০০ |
প্রোটিন কনসেন্ট্রট | ২.০০ | ২.০০ | ২.০০ |
ঝিনুক চুর্ন | ২.০০ | ২.০০ | ৩.৫০ |
ডিসিপি | ১.২৫ | ১.২৫ | ০.৭৫ |
ভিটামিন খনিজ মিশ্রিত | ০.২৫ | ০.২৫ | ০.২৫ |
লাইসিন | ০.১০ | ০.১০ | ০.১০ |
মিথিওনিন | ০.১০ | ০.১০ | ০.১০ |
লবন | ০.৩০ | ০.৩০ | ০.৩০ |
মোট | ১০০ কেজি | ১০০ কেজি | ১০০ কেজি |
মনে রাখতে হবে প্রতি ১০০ কেজি খাদ্য ৩৫ গ্রাম রোভিমিক্স বা ভিটাবেল্ড ৫ গ্রাম নিয়াসিন এবং ৩৫ গ্রাম কোলিন ক্লোরাইড মিশাতে ভুলবেন না।
হাঁস থাকার ঘর যেভাবে তৈরি করবেন ?
হাঁস পালনের পূর্ব পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যেখানে হাড় রাখবেন সেই ঘরটি অবশ্যই তৈরি করতে হবে এবং কিভাবে তৈরি করবেন সেটা সম্মুখ ধারণা রাখতে হবে যে ঘরটি তৈরি করবেন সে ঘরে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বায়ু চলাচল করতে পারে। একটি পূর্ণাঙ্গ হাঁসের জন্য দুই বর্গফুট জায়গা লাগবে আর কোটি বয়সের হাঁসের জন্য এক বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন পড়বে।
বন্যপ্রাণী যেমন শিয়াল ও বন্য বিড়াল এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভালো ব্যবস্থা নিতে হবে । অতঃপরহাস থাকার মেঝেতে তুষ খড় কাঠের গুড়া বিচুলি লিটারের মত করে বিছিয়ে দিতে হবে। এতে করে ডিম গড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং ভাঙ্গার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
হাঁসের থাকার ঘরটি লিডারের জন্য কোন অবস্থাতে ভিজে না যায় প্রতিদিন অন্তত একবার করে হাঁসের লিটার গুলো পাল্টে দিতে হবে বৃষ্টির সময় যদি মেঝেতে পানি ঢুকে যায় তাহলে মেজে অবশ্যই পরিষ্কার এবং শুকনা রাখতে হবে।http://www.google.com
হাঁসের ঘরটি যেমনই হোক না কেন সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো আধারে খেলা অহেতুক সৃষ্টি করবেন না। রাতের বেলা অবশ্যই হাঁসকে অন্ধকারে রাখবেন কারণ অন্ধকারে হাঁস শরীর এবং মন সুস্থ থাকে এবং যার ফলে ডিম ও মাংস উৎপাদনে ভালো বৃদ্ধি পায়।
হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিভাবে নিবেন?
আপনাকে মনে রাখতে হবে হাঁস পালন করে লাভবান হতে গেলেই প্রথমেই আপনার খামারটি রোগমুক্ত রাখতে হবে কারণ রোগমুক্ত হাঁস আপনাকে লাভবান করতে সাহায্য করবে হাঁসের খেতে রোগ ব্যাধি চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ মুক্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
একজন আদর্শ খামারি হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সমস্ত দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং অল্প খরচে আপনি অধিক লাভবান হতে পারবেন।
হাঁসের তেমন একটা বেশি রোগ বালাই হয় না খামারিরা যদি সচেতন হয় এবং সঠিক পরিচর্যা করে তাহলে খামারে কোন ধরনের রোগ বালাই ছাড়াই আপনি অধিক লাভবান হতে পারবেন। তবে খামারিকে অবশ্যই মারাত্মক দুটি রোগের টিকা দিতে হবে।
- ডাক প্লেগ
- ডাক কলেরা
এই দুটি টিকা দিতে হবে।
হাঁসের পরিচর্যা যেভাবে নিবেন?
- আজকে সুষ্ঠ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রোগমুক্ত রাখা
- এতে তেমন কোনো ব্যয় হয় না
- খামারের ভিতরে অবাধ প্রবেশ বন্ধ করা
- চাহিদা মত সুষম খাদ্য সরবরাহ করা
- নিরাপদ পানি প্রদান করা
- হাঁসের খাবারের পাত্র গুলি পরিষ্কার রাখা
- হাঁসের খামার অর্থাৎ ঘরটি সবসময় পরিষ্কার ও জীবাণুন আসুক ওষুধ পানিতে মিশিয়ে খামারটি জীবনে মুক্ত করা
হাঁসের প্রতিরোধক টিকা প্রদান যেভাবে করবেন ?
- প্রথম টিকে দিতে হবে ২১ দিন বয়সে তার পরের কিস্তি ৩৬ দিন বয়সে না শেষ কিস্তি ৭০ দিন বয়সে কলেরার টিকা দিতে হবে।
- হাঁসকে রোগমুক্ত রাখার জন্য টিকা প্রদানের বিকল্প নেই মনে রাখতে হবে সব সময় সুস্থ হাঁসকেই টিকে প্রদান করতে হবে।
- প্রতিষেধক কোন অবস্থাতেই সূর্যের আলোতে আনা ঠিক হবে না
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করতে হবে।
উপসংহারঃ উপযুক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, হাঁস-পালনে-খরচ-কম-লাভ-বেশি – যা আপনি ব্যক্তির উদ্যোগে অথবা খামারি উদ্যোগে হাঁসের পালন সঠিকভাবে করতে পারলে, আপনি অবশ্যই লাভবান হবেন। আপনি লাভবান হলে আপনার পরিবার আপনার দেশ লাভবান হবে। আশা করি আপনারা উপযুক্ত আইডিয়াগুলো যেভাবে বর্ণ্না করা হয়েছে যদি সঠিকভাবে এটি পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে আপনি আজীবন এ ব্যবসা থেকে জীবন নির্বাহ করতে পারবেন। আশা করি আপনারা আমার এই কন্টেইনটিতে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন, ভালো থাকার চেষ্টা করবেন, খোদা হাফেজ।