আন্তর্জাতিক

দুবাই যেতে বাংলাদেশী কত টাকা লাগে? কোম্পানী ভিসার দাম ও বেতন Dubai jethe Bangladeshi Koto Taka Lage? company Visa O Baton

দুবাই যেতে বাংলাদেশী কত টাকা লাগে? কোম্পানী ভিসার দাম ও বেতন  Dubai jethe Bangladeshi Koto Taka Lage? company Visa O Baton প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম ওয়াদা ও অন্যান্য জাতির প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে শুরু করছি আজকে আমার এই পোস্টটি যে সমস্ত ভাই ও বোন দুবাই যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করতেছেন? অনেকেই জানেনা দুবাই দেশ সম্পর্কে এবং সেই দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে কত টাকা প্রয়োজন হয়। অনেকেই দুবাইতে বিভিন্ন কাজ ব্যবসা ও ঘোরার জন্য যেয়ে থাকেন। আর তাইতো তারা অনলাইনে ভালোভাবে পড়লেই দুবাই যেতে বাংলাদেশী টাকা এবং ভিসা দাম ও বেতন সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

বাংলাদেশি যে সমস্ত নাগরিক দুবাই যেতে চান বাংলাদেশি কত টাকা খরচ সেখানে কোন ধরনের  কোম্পানি ভিসা  ও সে দেশের বেতন সম্পর্কে জানতে চান? এবং ভালভাবে না জেনে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। https://daliatista.com

বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা খরচ হয়

যে সমস্ত নাগরিক বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমেই জেনে শুনে এবং বুঝে তারপরে সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনি যদি দুবাই যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভিসার উপরে নির্ভর করবে আপনার দুবাই যাওয়ার খরচ? এটা সম্পুর্ন আপনার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। তবে সকল ভিসা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে শুনে তারপরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার বিভিন্ন রকমের দাম হয়ে থাকে তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরির মূল্য সম্পর্কে।

দুবাই যেতে বাংলাদেশী কত টাকা লাগে? কোম্পানী ভিসার দাম ও বেতন

 ভিজিট বা ভ্রমণ ভিসা দাম

আপনি যদি  দুবাইতে ভ্রমণ করার জন্য যেতে চান তাহলে আপনাকে কয়েকটি এয়ারলাইন্সের তথ্যবদ্ধ জেনেই আপনি দুবাই যেতে সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে  কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিমান এয়ারলাইন্স এর মধ্যে  আপনি যদি  ইতিহাদ এয়ারলাইন্স যেতে  পারবেন।

সুতরাং আপনি যদি দুবাই ভ্রমণ করার জন্য যেতে চান তাহলে আপনি সেখানে খুব বেশি দিন অবস্থান করতে পারবেন না তবে এই ভিজিট বা ভ্রমণ ভিসার সর্বোচ্চ আপনাকে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে গুনতে হবে তাহলে আপনি দুবাই থেকে ঘুরে আসতে পারবেন।

দুবাইতে কাজের ভিসার কত দাম ?

সর্বপ্রথম আপনাকে কোন একটি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে দুবাইতে  প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে  এক্ষেত্রে আপনি যদি দালালের মাধ্যমে দুবাই যাওয়ার ভিসার প্রসেসিং দায়িত্ব দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে দ্বিগুন টাকা গুনতে হবে।

কাজে আপনি সবদিক থেকে নিজেই ভিসার সম্পর্কে জানা এবং ভিসা প্রসেসিং করে আপনি কাজের জন্য দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে ভিসা সম্পন্ন করার পরে আপনার এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কাজের ভিসার জন্য ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে অনেক সময় কিছু কম বেশি হতে পারে।

আরো পড়ুন-কুয়েত যেতে বাংলাদেশী কত টাকা লাগে এবং কুয়েত ভিসার মুল্য কত ? Kuwait Jeete Bangladeshi Koto Taka Lage visar Mullu Koto

মূলত দুবাই  একটি উন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক নাগরিক এই ডুবাই যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে ডুবাইতে অবস্থান করতে পারেন তাহলে আপনার বেশি দিন আপনার গচ্ছিত আমানত যে খরচ হয়েছে সেটি তুলতে সময় লাগবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারিভাবে দুবাই যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনার খরচ হতে পারে তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় ভিসার মূল্য কখনো নির্ধারণ করে  হয় না।

dubai-jethe-bangladeshi-koto-taka-lage-তবে সরকারি ভাবে যদি দুবাই পৌঁছাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে ভিসার মূল্য কখনো নির্ধারণ করে বলা সম্ভব হয় না। সময় অনুযায়ী পরিবর্তন হয়।

দুবাই হোটেল ভিসার দাম কত?

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম উন্নত কান্ট্রি তথা দুবাই একটি দেশ যেখানে  অনেক ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা থাকে বিশেষ করে হোটেলের অনেক ধরনের শ্রমিক হোটেল বয় ও বিভিন্ন কাজের জন্য নিয়ে থাকে হোটেলের কাজকর্ম করার জন্য।

তাই হোটেল ভিসা বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য অনেক চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ যেখানে যাওয়ার জন্য সবাই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি হোটেল ভিসায় দুবাই যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।

 দুবাইতে  যাওয়ার জন্য ফ্রি ভিসার  দাম কত?

অনেকেই  ইউরোপ মহাদেশের কান্ট্রিগুলোতে ফ্রি ভিসার মত দুবাইতে যেতে চায় কিন্তু দুবাইতে কখনো ফ্রি ভিসার পারমিট বা পারমিশন দেওয়া হয় না। কারণ বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত কর্মী দুবাই যেতে চায়  তারা অনেকেই জানে না।

অনেকেই সরকারিভাবে যাওয়ার চেয়ে বেসরকারিভাবে যাওয়ায় অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকে কারণ সরকারিভাবে যেতে চাইলে তাদের অনেক কষ্ট এবং অনেক সময় লেগে থাকে। আর কোম্পানি বা ব্যক্তিগতভাবে বেসরকারিভাবে যাওয়ার জন্য  আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে যেতে পারবেন।

প্রিয় পাঠক এতক্ষণে উপরিক্ত ভিসা সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত করলাম আশা করি আপনারা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা সম্পর্কে অবগত হলেন। এবং আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি কোন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমেই দুবাই যেতে চান।https://www.google.com

দুবাই  দেশটিতে কি কি কাজের চাহিদা বেশি থাকে?

বাংলাদেশ থেকে যত নাগরিক এই দুবাই যাক না কেন ? সবচেয়ে বেশি দুবাইতে যায় কাজের ভিসায়। বাংলাদেশ থেকে প্রতি নিয়ত দুবাই যাওয়া এবং আশায় অনেক নাগরিক এই দেশে প্রবাসী জীবন যাপন করে থাকে। আর এই দেশে সবচেয়ে বেশি কাজের ভিসার মানুষই বেশি পাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত নাগরিক দুবাই যেতে চান এবং দুবাই দেশের কাজের সম্পর্কে অবগত হতে চান সেখানে কি ধরনের কাজের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং সেখানকার পরিবেশ আবহাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে জানতে চান? আজকে আমি তাদের জন্য আমার এই কনটেন্টটি লেখা আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক দুবাই দেশের কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকে ?।

দুবাই যেতে বাংলাদেশী কত টাকা লাগে? কোম্পানী ভিসার দাম ও বেতন

  • দুবাইতে সবচেয়ে বেশি গৃহকর্মীর ভিসা হয়ে থাকে
  • দুবাইতে  বাড়ির কাজ অর্থাৎ কৃষক ভিসা
  •  গৃহপালিত ঘোড়া ভিসা
  •  বিভিন্ন মুদিখানার ভিসা
  •  দুবাইতে ব্যক্তিগত চাষাবাদ সে ফিল্ড ভিসা
  •  দুবাইতে  কুক ভিসা
  •  ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ ভিসা
  •   দুবাইতে  বিশেষ নার্স কর্মী ভিসা
  •  দুবাইতে ব্যক্তিগত নাবিক ভিসা
  •   দুবাইতে  ভ্যালেন্ট পার্কিং করবে ভিসা

dubai-jethe-bangladeshi-koto-taka-lage-তাহলে আমরা  দুবাই দেশে কাজকর্ম করার জন্য যে সমস্ত  কাজের সুবিধা রয়েছে সেগুলো আমরা  সহজে বুঝলাম।এক্ষেত্রে বাংলাদেশি কোন নাগরিক বিশেষ কোন দক্ষতা ব্যক্তি সম্পন্নকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বেতন প্রদান করে থাকেন।

যদি কোন বাংলাদেশী নাগরিক, ড্রাইভিং কোন রেস্টুরেন্টের কাজের অভিজ্ঞতা কৃষিকাজের অভিজ্ঞতা, মেকানিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের অভিজ্ঞতা, কনস্ট্রাকশনের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অন্য দশজনের তুলনায় সে ভালো ইনকাম করতে সক্ষম হবে।

 দুবাই  দেশের বেতন 

একজন মানুষ  যদি দুবাই দেশে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করতে চায় তাহলে সে মানুষটিকে যেন অবশ্যই দক্ষতা হয়েই সে দেশে যায়।সে ক্ষেত্রে একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তির জন্য প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। অন্যদিকে একজন অভিজ্ঞ সম্পন্ন ব্যক্তি তার মাসিক বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পেতে সক্ষম হয়। 

তাহলে আমরা সহজে বুঝতে পারলাম দুবাই দেশ  বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কে এবং সেই দেশে গেলে একজন মানুষ সর্বনিম্ন কত টাকা এবং সর্বো ঊর্ধ্বে কত টাকা বেতন পায় সে সম্পর্কে আমরা এতক্ষণে বুঝে গেছি।

একজন ইলেকট্রিশিয়ান  শ্রমিকের জন্য  প্রতি মাসে বাংলাদেশী টাকা ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  •  একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি ড্রাইভিং  অভিজ্ঞ হয়ে থাকে  সেক্ষেত্রে তাকে বাংলাদেশী টাকা ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
  • বাংলাদেশে কোন নাগরিক যদি হোটেল বয়ের কাজ করে থাকে তাহলে তার প্রতিবেশী বেতন বাবদ বাংলাদেশী টাকা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • যদি কোন বাংলাদেশী নাগরিক দুবাই দেশের কনস্ট্রাকশনের কাজে নিয়োজিত থাকে সেক্ষেত্রে তাকে বাংলাদেশী টাকা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে।

সমাপনীঃ আজকে আমার এই পোষ্টটিতে  দুবাই  যেতে বাংলাদেশে কত টাকা বিভিন্ন ভিসা কোম্পানি সম্পর্কে এবং সেখানে বাংলাদেশী কত টাকা বেতন হবে সেই সম্পর্কে আপনাদেরকে অবগত করার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই আর্টিকেলটি পড়েছেন। এজন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই। আমার এই লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই দুবাইগামী অথবা  দুবাই যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেছেন তাদের কাছে আমার এই এ লেখাটি শেয়ার করবেন।  আজকের মত সকলের কাছে বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে অন্য  কোন একটি বিষয় সম্পর্কে সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করে শেষ করছি আল্লাহ আপনাদের প্রতি সহায় হোন।

 

admin

মোঃ শফিকুল ইসলাম লেবু (Lecturer) ডালিয়া, ডিমলা, নীলফামারী। আমি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে কন্টেইন ও ব্লগিং পোষ্ট করে থাকি, এ ব্যাপারে পাঠকগন মতামত দিলে - যথাসম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *